ঢাকা মহানগীর মাত্র ৫ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে। বাকি ৯৫ শতাংশ এলাকায় এ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর লেক, খাল ও নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এমন অভিযোগ খোদ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের।
এসময় অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান মেয়র। তবে এমন অপরিকল্পিত পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দায় ঢাকা ওয়াসাকে নিতে হবে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।
এমনকি রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীর ৯০ শতাংশ ভবনে নির্মাণ করা হয়নি সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলছেন এখানে পয়োবর্জ্য বেরিয়ে যাওয়ার পথ হিসেবে সিটি করপোরেশনের ড্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এসব মলমূত্র সরাসরি এসে পড়ছে গুলশাল-বনানী লেক হয়ে রাজধানীর অন্যান্য খালগুলোতে।
ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম বলছেন, পুরো শহরের মধ্যে দিয়ে মলমূত্র ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। এছাড়াও নদ-নদীর পরিবেশ নষ্টের জন্যও দায়ী এটি।
শনিবার গুলশান ২ নম্বর এলাকায় অনুসন্ধানে নিউজটোয়েন্টিফোর টিম। ১৩ তলা ভবনটির নাম কেয়া রেজিডেন্ট। বাইরে ফিটফাট কিন্তু ভবনটির পয়োবর্জ্যে সরাসরি যাচ্ছে সিটি কপোরেশনের নর্দমায়। এমন চিত্র মেলে গুলশান ১, ২ ও বনানীর বেশিরভাগ আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে।
আবার সেপটিক ট্যাংক আছে ভবন সংশ্লিষ্টদের এমন দাবির কোনই ভিত্তি নেই বলে মত সিটি কর্পোরেশনের। নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব মনে করেন, রাজধানীতে পয়োবজ্য নিস্কাশনব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় এর দায় ঢাকা ওয়াসাকে নিতে হবে।
বিষয়টি জানতে পেরে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বর্জ্যের পানি যদি খালে দেয়া হয় তাহলে তা মেনে নেয়া হবে না। পরিবেশ রক্ষার মানসিকতা না থাকলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তবে এই বিষয়গুলি মনে করে দিতে অভিযান চালানো হবে।
মেয়র জানায় – এর স্থায়ী সমাধানে ৩ হাজার ৩১৭ কোটি ব্যয়ে ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে পাগলা, দাশেরকান্দি, রায়েরবাজার, উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় মোট পাঁচটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ কাজ শুরু করেছে ঢাকা ওয়াসা।